শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
মোংলা সমুদ্রবন্দরের ২৮০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরের ৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। অন্যদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ৪৭৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং কক্সবাজার থেকে ৪৭০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে।
একইসঙ্গে দেশের ৯ নদীবন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এগুলো হলো- খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম নদীবন্দর।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে (২৪ নম্বর) এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।
বিশেষ বুলেটিনে মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ এর আশপাশের দ্বীপ এবং চরাঞ্চলগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দর এবং উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুরসহ এর আশপাশের দ্বীপ এবং চরাঞ্চলগুলোতে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এটি অতিক্রমকালে ভারী বর্ষণ হতে পারে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ এর আশপাশের দ্বীপ ও চরাঞ্চলগুলোতে। সেসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। যা সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে।
একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকার নিম্বাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।